বিজ্ঞপ্তি

অনুসরণ করুন

এই অংশটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে

১৯৬৭ সালের ২৭ তারিখে মোঃ হাফিজুর রহমান ময়না নেতৃত্বে এবং কয়েকজন প্রাণোচ্ছল কিশোরের সহযোগিতায় পল্লীমা সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত এলাকার কিশোর তরুণদের ক্রীড়া বিষয়ক কর্মকান্ড পরিচালনা করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হলেও এলাকার ও সমাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে ধীরে ধীরে সংগঠনটির ক্রীড়া কর্মসূচির সাথে আরো কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয় এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী এ সংগঠনটি শুরু থেকেই পরিচালিত হয়ে আসছে।

ক। আমরা জানি এবং বিশ্বাস করি যে বর্তমান অসুস্থ সমাজে সুস্থ এবং অসুস্থতার মধ্যে দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।

খ। মানুষের মনে যেখানে ভালো এবং মন্দের দ্বন্দ্ব ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অসুস্থ পারিপার্শ্বিকতার চাপে মানুষের ভালো দিকগুলো ক্রমশ চাপা পড়ে যাচ্ছে ফলে সমাজ ক্রমশই অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে।

গ। আমরা এও জানি যে পৃথিবীর সকল দেশে সর্বকালে সত্য এবং সুন্দর আড়ালে চাপা পড়তে পারে না। সকল অসুস্থতা আর অনিশ্চিত অন্ধকারের বিরুদ্ধে সব সময়ই তারুণ্য মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, সৃষ্টি করেছে কঠিন প্রতিরোধ।

ঘ। সমাজের সবচেয়ে প্রাণবন্ত শক্তি তারুণ্য যদি কখনো অবক্ষয় বা অচেতনতায় হারিয়ে যায়, তবে সমাজকে এর জন্য কঠিন মূল্য দিতে হয়। কিন্তু এও সত্য যে, রুগ্ন ও ভগ্ন সমাজে সর্বত্র তারুণ্যকে সুকৌশলে স্থবির পঙ্গু এবং বিপথগামী করার প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং বহু তরুণ এসব ফাঁদ থেকে নিজেদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

ঙ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, জন্মের পর অর্থাৎ জ্ঞান হবার পর থেকে শিশুদের উপর পারিবারিক ও সামাজিক অবিচার পূর্ণাঙ্গ তরুণ সৃষ্টি হবার বিরুদ্ধে বাধা স্বরূপ। শিশু বয়স থেকে যথাযথ পরিবেশ এবং সহচর্য না পেলে যে কোন ক্ষেত্রেই সুস্থ তারুণ্য অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

চ। আর তাই একটি যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমাদের করণীয় দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা সচেতন। আর এই উপলব্ধি থেকে সূর্যালোক প্রস্ফরিত করে মিলিত হয় সূর্য জন্ম দেবার দৃঢ় সংকল্প নিয়েই ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৭ তারিখে পল্লীমা কিশোর সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরে পরিস্থিতিতে পল্লীমা কিশোর সংঘের নাম পল্লীমা সংসদ রাখা হয়

বর্তমানে পল্লীমা সংসদ সাতটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ১। শহীদ বাকি স্মৃতি পাঠাগার ২। শহীদ বাবুল একাডেমী ৩।পল্লীমা মহিলা পরিষদ ৪।পল্লীমা স্বাস্থ্য সেবা ৫। পল্লীমা গ্রীন ৬।পল্লীমা ক্রিকেট সেন্টার ৭। পল্লীমা বিদ্যাপীঠ এবং সাতটি বিভাগ যথা ১।ক্রীড়া বিভাগ ২। প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ ৩।সাহিত্য বিভাগ ৪।সমাজ কল্যাণ বিভাগ ৫।সাংস্কৃতিক বিভাগ ৬।সেমিনার বিভাগ ও ৭।আন্তর্জাতিক বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

Share this :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Popular Categories

Signup our newsletter to get update information, news, insight or promotions.